Search This Blog

দ্য হুইসপার্ড ওয়ার্ল্ড হালকা উত্তেজনায় ভরা এক এডভেঞ্চার গেম

Tuesday, August 16, 2011

গেম দ্য হুইসপার্ড ওয়ার্ল্ড: হালকা উত্তেজনায় ভরা এক এডভেঞ্চার গেম।

গেমের যতগুলো জেনার বা ঘরানা আছে তার মধ্যে প্রথাগত পয়েন্ট-অ্যান্ড-ক্লিক অ্যাডভেঞ্চার গেমগুলো জনপ্রিয়তার দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছে। এরকমই একটি সাড়া জাগানো গেম ‘দি হুইসপারড ওয়ার্ল্ড’।
এ গেমের গল্পটি স্যাডউইক দ্য সরোফুল ক্লাউন নামের একজনকে ঘিরে।

ভাঁড়ের পোশাক পরা স্যাডউইক দেখতে শুনতে অনেকটা উইনি দ্য পোহ-র গর্দভ সঙ্গী আইয়োর- এর মত। ছোট্ট একটা পারিবারিক সার্কাসের দলের নিয়মিত ভাঁড় সে। তার হাল অবস্থা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের কবিতার চির পুরাতন ভৃত্যের মত: কেউই যেন তাকে দেখতে পায় না, সমাজে বিন্দুমাত্রও দাম নেই তার। পরিবারের বুড়ো দাদু কিছুতেই তার নাম মনে রাখতে পারে না। আর তার বড় ভাই বেন আগাগোড়াই তার সঙ্গে আচরণ করে নগন্য এক ভৃত্যের মত।
হুইসপার্ড ওয়ার্ল্ড এর সেই রাজ্য।

হুইসপার্ড ওয়ার্ল্ড এর সেই রাজ্য।

স্যাডউইকের বড় ইচ্ছে সে কবিতা এবং গান লিখবে এবং শিল্পকলার জগতের একজন হোমরা চোমরা হবে। কিন্তু এটাকে নিয়ে বেন সবসময়ই হাসিঠাট্টা করে। এদিকে আরেক মুশকিল হল, সাডউইক সবসময় একটা দুঃস্বপ্ন দেখে, আর তা হচ্ছে পৃথিবীটা অচিরেই ধ্বংসের কিনারে পৌছে যাবে, রূপ নেবে জাদু আর কল্পনায় ভরা এক মধ্যযুগীয় রাজ্যে।

পরিবারে তথা সার্কাসের দলে একমাত্র যে প্রাণীটি স্যাডউইককে ভালবাসে সে নিজেও এক কিম্ভূত জন্তু। তার নাম স্পট, আদতে সে বিচিত্র চেহারার একটা শুঁয়োপোকা ছাড়া আর কিছুই নয়। গেমে স্যাডউইকের যাবতীয় অ্যাডভেঞ্চারে বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে সঙ্গে থাকে স্পট, যদিও গোটা গেম ভর সে একটি শব্দও উচ্চারণ করে না। জীবনটাকে আরো একটু উপভোগ্য করার জন্য রোমাঞ্চকর অভিযান খুঁজে বেড়ায় স্যাডউইক। গেমের একেবারে শুরুতে ভাই বেন আর নিরস বুড়ো দাদুর নানারকম গালমন্দ হজম করে জঙ্গলের মধ্যে অভিযানে বেরিয়ে পড়ে স্যাডউইক।

এই বনে জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েই দেখা হয় বহু দূরের করোনা নামে এক গ্রহ থেকে আসা এক দূতের সঙ্গে। সেদেশের রাজা অসুস্থ এবং বিদেশী শত্রুরা দেশটি দখল করে নেবার পাঁতারা করছে। করোনা তথা রাজার রাজত্বকে বাঁচানোর একমাত্র পথ হচ্ছে ‘ফিসফিস করা পাথর’ তথা হুইসপারিং স্টোন নামের রহস্যময় এক বস্তুকে রাজদূর্গে নিয়ে যাওয়া। শানা নামে এক মেয়েরই নাকি কেবল ক্ষমতা আছে পাথরটি খুঁজে বের করার। বহুকষ্টে শানাকে খুঁজে বের করে স্যাডউইক, কিভাবে পাথরটি খুঁজে বের করতে হবে সে ব্যাপারে তাকে কিছু টিপস দেয় শানা।
এডভেঞ্চারে বেড়িয়েছে গেমের দুই চরিত্র

এডভেঞ্চারে বেড়িয়েছে গেমের দুই চরিত্র

আর এখান থেকেই স্যাডউইক আর স্পট-এর সত্যিকারের অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়। গল্পটিতে যে খুব একটা নতুনত্ব আছে তা নয়, তবে সব মিলিয়ে গেমে যত্নের ছাপ আছে, খেয়াল রাখা হয়েছে সবগুলো ডিটেইলের দিকে।

এ কারণে খেলতে খুব একটা খারাপ লাগবে না। গেমের পাজলগুলো সাধারণ বুদ্ধির যে কেউই সমাধান করতে পারবে। ভাল স্টোরিলাইন, সুন্দর চরিত্র চিত্রণ আর গ্রাফিক্স ও শব্দে আকর্ষণীয়তা গেম খেলার সময়টাকে উপভোগ্যতায় ভরিয়ে রাখবে।


গেমটির সিম্টেম রিকয়্যারমেন্টস
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্সপি, ভিস্তা ও সেভেন।
সিপিইউ: ২.৫ গিগাহার্টজ প্রসেসর।
মেমোরি: ১ গিগাবাইট র‌্যাম কমপক্ষে।
হার্ড ডিস্ক স্পেস: ৪ গিগাবাইট ফ্রি হার্ড ড্রাইভ স্পেস।
ভিডিও কার্ড: ২৫৬ মেগাবাইট ভির‌্যাম, সঙ্গে থ্রিডি গ্রাফিক্স অ্যাকসিলারেটর
সাউন্ড: ডিরেক্টএক্স ৯.০ কমপ্যাটিবল সাউন্ড
ইনপুট: মাউস ও কিবোর্ড

0 comments:

Post a Comment