বায়োলজি এবং টেকনোলজি, এ দু’য়ের সংমিশ্রণে বায়োটেকনোলজি বা জীবপ্রযুক্তি। আধুনিক বিশ্বে জীবদেহের নানা সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির যে বহুমাত্রিক ব্যবহার ঘটছে সেটি আমাদেরকে বিস্ময়ে স্তব্ধ করে দেবার মতই। বিশ্বের দেশে দেশে লাবরেটরিতে জীবপ্রযুক্তিবিদরা দিনরাত ব্যস্ত আছেন এমন সব গবেষণায় যেগুলো সফল হলে জীববিজ্ঞান আর প্রযুক্তির মধ্যে যে সীমারেখা তা মুছে যাবে পুরোপুরি। আমাদের জীবনকে বাঁচাতে, সাজাতে, সুন্দর ও সুদীর্ঘ করতে তখন আর বেগ পেতে হবে না এতটুকু। খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ‘পপুলার মেকানিক্স’-এর পাতা থেকে বায়োটেকনোলজির ভুবনে ঘটে চলা অবিশ্বাস্য কিছু উদ্ভাবনের কথা।
১।
দাঁতের য়ের সঙ্গে যুদ্ধ করবে ব্যাকটেরিয়া : আমাদের দাঁতের মধ্যে বসবাস করা ব্যাকটেরিয়া চিনিকে রূপান্তরিত করে ল্যাকটিক এসিডে। এই ল্যাকটিক এসিড দাঁতের এনামেলকে ধীরে ধীরে য় করে এবং দাতের ক্ষয় ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের ফোরিডাভিত্তিক ওএনআই বায়োফার্মা এগিয়ে এসেছে দন্তক্ষয়জনিত এ সমস্যা সমাধানে। তারা নতুন এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া উদ্ভাবন করেছেন যেটি ল্যাকটিক এসিড উৎপাদন করে না এবং বিশেষ এক ধরনের এন্টি বায়োটিকের নিঃসরণ ঘটিয়ে দাঁতের য় সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করে। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন স্মার্ট । এখনও উদ্ভাবনের প্রক্রিয়ায় থাকা এই স্মার্ট বাজারে এলে ডাক্তারদের আর দাঁতের য় নিরাময়ে কিছুই করতে হবে না। স্রেফ রোগীর দাঁতে একবার প্রয়োগ করলেই হল, বাকি জীবন আর দাঁতে য় নিয়ে রোগী বা ডাক্তার কাউকেই চিন্তা করতে হবে না।
২।
কৃত্রিম লিম্ফ গ্রন্থি : জাপানের বিখ্যাত ‘রাইকেন ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানীরা মানুষের লালা গ্রন্থি বা লিম্ফ নোডের একটি কৃত্রিম প্রতিলিপি তৈরি করেছেন। মানুষের শরীরে এই লিম্ফ নোডের ভূমিকা অপরিসীম। এরা মানবদেহে নানারকম ইনফেকশনকে ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় ইমিউন সেল তৈরি করে। বর্তমানে কৃত্রিম এই লিম্ফ নোডকে আরো উন্নত ও কার্যকর করার জন্য রাইকেন-এর বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন। এগুলোকেই একসময় স্থাপন করা হবে মানুষের অসুস্থ বা অকেজো লিম্ফ নোডের জায়গায়। ডাক্তাররা তখন ইচ্ছে করলে এসব লিম্ফ নোডকে ক্যান্সার বা এইডস-এর মত রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার উপযোগী কোষ দিয়েও পরিপূর্ণ করে দিতে পারবেন।
৩।
হাঁপানী রোগীকে বাঁচাবে অ্যাজমা সেন্সর: বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অ্যাজমা তথা হাঁপানী রোগীর সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে জরুরী বিভাগে নাম লেখানো মানুষের একটি বড় অংশই কিন্তু হাঁপানী রোগী। এসব রোগীর রোগ
নির্ণয় অনেকটাই সহজ করে দিতে আসছে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এক বিশেষ সেন্সর। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ-এর বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এ সেন্সরে আছে পলিমারের আবরণে ঢাকা ন্যানোটিউব। মানুষের চুলের ১ ল ভাগের এক ভাগ পুরুত্ববশিষ্ট এই ন্যানোটিউব মানুষের নিঃশ্বাস থেকে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারে। শরীরে হাঁপানীর আক্রমন শুরু হবার আগে ফুসফুস এই নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসরণ করে।
৪।
থুথু থেকে ক্যান্সারের টেস্ট: মানুষের শরীরে ক্যান্সার আছে কি নেই সেটি নির্ধারণ করার জন্য সাধারণত ডাক্তারদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে বায়োপসি। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীদের গবেষণা সফল হলে মুখগহ্বরের ক্যান্সার টেস্ট
করার জন্য আর বায়োপসির দরকার হবে না। তখন কোনো ব্যক্তির মুখের এক ফোঁটা থু থু থেকেই নির্ভুলভাবে জানা যাবে তার ক্যান্সার আছে কি না। মানুষের শরীরে ক্যান্সার সেল তৈরির সঙ্গে জড়িত প্রোটিন সেন্সরে রাখা ডাই-এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে। ফলে নিঃসরণ হয় বিশেষ ফুরোসেন্স আলো যা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যাবে। চিং মিং হো নামে একজন প্রকৌশলী গবেষণা করে দেখেছেন, এভাবেই মানুষের থু থু থেকে ক্যান্সার সহ আরো অনেকগুলো রোগ নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব।
৫।
হৃদপিন্ডকে স্থায়ী ছন্দ দেবে বায়োলোজিক্যাল পেসমেকার: হৃদযন্ত্রের সমস্যা যাদের আছে তাদেরকে নতুন জীবনের আশ্বাস বাণী শোনায় পেসমেকার নামের যন্ত্র, যেটি হৃদযন্ত্রের ছন্দকে কৃত্রিমভাবে ঠিক রাখে। তবে ইলেকট্রনিক এসব পেসমেকার সময়ের বিবর্তনে আস্তে আস্তে কর্মমতা হারাতে পারে। আর এ কারণেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মিলে একটি ব্যাটারবিহীন বিকল্প পেসমেকার তৈরি করার চেষ্টায় রত আছেন। স্টেম সেলে তৈরি এই পেসমেকারকে হৃদপিন্ডের তিগ্রস্থ স্থানে বসিয়ে দিয়ে হৃদপিন্ডকে সচল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে কুকুরের ওপর এ পেসমেকার প্রয়োগ করে দেখা গেছে, কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই এটি হৃদযন্ত্রের ছন্দকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে।
৬।
কৃত্রিম প্রত্যঙ্গের কার্যকর ফিডব্যাক: দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে যেসব মানুষ হাত পা সহ নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারান তাদের অনেকেই কৃত্রিম প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করেন। তবে এসব প্রত্যঙ্গের অসুবিধা হচ্ছে, এগুলো ঠিকভাবে কাজ না করলে ব্যবহারকারী তা সহজে বুঝতে পারেননা। আমাদের শরীরের কথাই ধরুন। যে কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সমস্যা হলে মুহূর্তের মধ্যেই সমস্যার ব্যাপারটি আমরা বুঝতে পারি, আমাদেরকে ঐ প্রত্যঙ্গের দিকে তাকাতে হয় না। এ সমস্যাটি নিয়ে ভেবেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কারলিন ব্যাক। তিনি ল্য করেছেন, আমাদের চামড়া প্রসারণের প্রতি খুবই স্পর্শকাতর। আর এ কারণেই ব্যাক এমন একটি ডিভাইস তৈরি করছেন যেটি কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে ব্যবহারকারীর শরীরের যে স্থানে প্রত্যঙ্গটি সেট করা আছে সেখানকার চামড়াকে হালকাভাবে প্রসারিত করবে। আর এর ফলেই ঐ প্রত্যঙ্গেও অবস্থান এবং নড়াচড়া সম্বন্ধে আরো ভালভাবে জানা যাবে।
৭।
স্মার্ট কটাক্ট লেন্স : অন্ধত্বের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে গুকোমা নামে একটি রোগ। চোখের ভেতরে চাপের কারণে রেটিনার কোষ তিগ্রস্থ হবার কারণে গুকোমা ঘটে। স¤প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা এমন একটি কনটাক্ট লেন্স উদ্ভাবন করেছেন যাতে বিশেষভাবে সেট করা তার প্রতি মুহূর্তে চোখের ভেতরের চাপ এবং রস (ভষঁরফ) নিঃসরণ প্রবাহ মনিটর করবে। এই মনিটরিং-এর ফলকে কনটাক্ট লেন্সটি ছোট একটি যন্ত্রের কাছে বার্তা আকারে প্রেরণ করবে। যন্ত্রটি আবার এ বার্তাকে পাঠিয়ে দেবে একটি কম্পিউটারের কাছে। এভাবে চোখ থেকে কম্পিউটারে তথ্যের অবিরাম প্রবাহের কারণে ডাক্তাররা গুকোমার কারণ সম্বন্ধে আরো ভালভাবে জানতে পারবেন। ভবিষ্যতে এ লেন্সের যে সংস্করণ বের হবে তার মাধ্যমে চোখের ভেতরের চাপ পরিবর্তন করার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঔষধ প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
৮।
ভাষা ফিরিয়ে দেবে স্পিচ রেস্টোরার: কথা বলার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছেন যেসব মানুষ তাঁদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রেও ইলিয়নভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান যার নাম ‘এমবায়েন্ট কর্পোরেশন’।
তাঁরা উদ্ভাবন করেছেন একটি ফোনেটিক স্পিচ ইঞ্জিন, যেটি ভাষাহীনের মনের ভাবকে প্রকাশ করবে শব্দের মাধ্যমে। টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস এর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট এই যন্ত্র এমন ইলেকট্রোড ব্যবহার করে যা মানুষের মস্তিষ্কের নিউরন থেকে কণ্ঠনালীতে পাঠানো সিগনালকে চিনতে পারে। ফলে রোগীর কাছে মনে হয় সে যেন খুব ধীরে ধীরে শব্দ উচ্চারণ করছে। এদিকে তার গলায় মালার মত করে পরানো ডিভাইসটি তারবিহীনভাবে এসব ‘শব্দ’কে পাঠায় একটি কম্পিউটার বা সেলফোনের কাছে, যেটি সিগনালগুলোকে শ্রবণযোগ্য শব্দে রূপান্তর করে।
৯।
শোষণযোগ্য হার্ট স্টেন্ট: হৃদরোগের কারণে যাদের করোনারি আর্টারি (ধমনী) সংকীর্ণ বা ব্লক হয়ে গেছে তাদের তিগ্রস্থ আর্টারিকে আবার খুলে দেয়ার কাজ কওে স্টেন্ট। ড্রাগের মাধ্যমে যে স্টেন্ট প্রয়োগ করা হয় তা থেকে এমন ঔষধ নিঃসৃত হয় যা আর্টারির আবার সংকীর্ণ বা ব্লক হয়ে যাওয়াকে ঠেকায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের অ্যাবট ল্যাবরেটরি এমন একটি বায়োএবজর্ভেবল স্টেন্ট তৈরি করতে যাচ্ছে যেটি আরো অনেক বেশি কার্যকর। এটি কাজ শেষ করে ধাতুনির্মিত স্টেন্ট-এর মত বসে থাকে না, মানব শরীরের সঙ্গে মিশে যায়। শরীরে স্থাপন করার ছয় মাস পর এটি গলতে শুরুকরে এবং দু বছর পর পুরোপুরি মিলিয়ে যায়। পেছনে রেখে যায় স্বাস্থ্যবান ও নিরোগ একটি আর্টারি।
১০।
মাংসপেশীর শক্তিবর্ধন করবে মাসল স্টিমুলেটর: মানুষের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে বেশ লম্বা সময় লাগে। দীর্ঘ এ সময়ে ভাঙ্গা হাড়ের আশেপাশে থাকা মাংসপেশী ব্যবহৃত না হওয়ায় দুর্বল এবং সংকুচিত হয়ে যায়। এ কারণেই ইসরায়েলী কোম্পানি ‘স্টিমুহিল’ তৈরি করেছে ‘মাইয়োস্পেয়ার’ নামে একটি যন্ত্র। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ বা স্টিমুলেশন ব্যবহার করে হাড় জোড়া লাগার দীর্ঘ সময়ে নিকটস্থ মাংসপেশীকে কর্মম ও শক্তিশালী রাখে।
১১।
স্মার্টপিল, শরীরের খবর রাখে চব্বিশ ঘন্টা: ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রোটিয়াস বায়োমেডিক্যাল এমন এক ধরনের বিশেষ সেন্সর তৈরি করেছে যেটি মানুষের শরীরে কোনো ঔষধ প্রয়োগ করার পর থেকে সেটির ফলাফল রেকর্ড করতে শুরু করে। বালুকণার মত ুদ্র আকারের মাইক্রোচিপ শরীরের ভেতর থেকে উচ্চমাত্রার সিগনাল পাঠাতে থাকে যেটি গ্রহণ করে চামড়ায় সেঁটে দেয়া ব্যান্ডেজ আকৃতির রিসিভার। এই রিসিভার হৃদস্পন্দন এবং শ্বাসপ্রশ্বাসকেও মনিটর করে তারবিহীনভাবে কম্পিউটারে এ সংক্রান্ত উপাত্ত পাঠাতে থাকে। এ আবিষ্কারটি সম্বন্ধে কোম্পানিটির কর্পোরেট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ও’রাইলির মন্তব্যটি মনে রাখার মত: ‘ঔষধ শিল্পকে সতিসত্যিই উন্নত করতে হলে আমাদেরকে এখন তাই করতে হবে যা করছে অন্য সব ইন্ডাস্ট্রি, আর তা হচ্ছে, বিভিন্ন প্রোডাক্টের মধ্যে ডিজিটাল টেকনোলজিকে প্রোথিত করে দেয়া এবং এগুলো দিয়ে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।’
১২।
স্ব-চালিত হুইলচেয়ার : ‘ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’-ও গবেষকরা একটি স্ব-চালিত হুইলচেয়ার তৈরি করেছেন যেটি যেখানে বলা হবে সেখানেই তার ব্যবহারকারীকে নিয়ে যাবে। চেয়ারটি ব্যবহারকারীর বর্ণনাকে ব্যবহার করে আশেপাশের এলাকা তথা পরিপার্শ্বকে চিনতে পারবে। যেমন, চেয়ারে বসা ব্যক্তি হয়ত বলছেন, ‘এটা আমার রুম, বা ‘আমরা এখন রান্নাঘরে আছি’, আর হুইলচেয়ার এসব শুনে শুনেই ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে ওসব জায়গার মানচিত্র তৈরি করে ফেলবে। ‘বুদ্ধিমান’ এই হুইলচেয়ারের মডেলটিকে বর্তমানে নানাভাবে পরীা নিরীা করে দেখা হচ্ছে এটি কতটুকু কার্যকর তা বোঝার জন্য। ভবিষ্যতে এর সঙ্গে ক্যামেরা, লেজার রেঞ্জফাইন্ডার এবং কলিশন-অ্যাভয়েডেন্সে সিস্টেম (কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লাগা এড়ানোর জন্য) সংযুক্ত করার সম্ভাবনা আছে।
১৩।
লিভার স্ক্যানার স্ক্যান করবে লিভারকে : আপনার লিভারটি কতটা সুস্থ? এ প্রশ্নের পরিপূর্ণ জবাব পেতে চাইলে আপনাকে বায়োপসির একটি কষ্টদায়ক একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এ যন্ত্রণা থেকে আপনাকে মুক্তি দেয়ার জন্য ফরাসী কোম্পানি ইকোসেন্স এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছে যা মাত্র ৫ মিনিটে আপনার লিভারকে স্ক্যান করে জানাতে পারবে এটি সুস্থ কি না। গবেষণায় দেখা গেছে, তিগ্রস্থ বা অসুস্থ লিভারের নমনীয়তা এবং প্রসারণশীলতা কমে যায়। ফাইব্রোস্ক্যান নামের এই যন্ত্রটি আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে লিভারের নমনীয়তা এবং প্রসারণশীলতা কমে গেছে কিনা সেটি অত্যন্তদ্রুত পরীা করতে পারবে।
প্রযুক্তি এখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সবখানে। এখনই আমরা প্রযুক্তির অভাববোধে না ভুগে একটা দিন পার করতে পারি। সামনে হয়ত সময় আসবে প্রযুক্তি আমাদের প্রতি মুহুর্তে সেবা দিয়ে যাবে।
0 comments:
Post a Comment