Search This Blog

ট্রান্সফরমার: ওয়ার ফর সাইবারটন স্ক্রিনশট; ওয়ার ফর সাইবারটন

Tuesday, August 16, 2011

ট্রান্সফরমার: ওয়ার ফর সাইবারটন স্ক্রিনশট
ট্রান্সফরমার: ওয়ার ফর সাইবারটন

রোবটদেরকে কেন্দ্র করে তৈরি গেম ট্রান্সফর্মারস এর আগের রিলিজগুলো গেমারদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহের সঞ্চার করতে পেরেছিল। এ কারণে ‘ট্রান্সফর্মারস: ওয়ার ফর সাইবাটন’-কে ঘিরে ট্রান্সফর্মারস গেমের ভক্তদের মধ্যে আগ্রহ ছিল প্রচুর। সে আগ্রহ গেমটি কতটুকু পূরণ করতে পারবে সেটাই এখন প্রশ্ন। এই থার্ড পারসন শ্যুটার গেমটি অবশ্য অন্যান্য শ্যুটার গেমের সঙ্গে নিজের পার্থক্যটা সেভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। গেমটির গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এমন একটি রোবট যে অন্য সব রোবটের ওপর নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। গেমটির ক্যাম্পেইন মূল দুটো অংশে বিভক্ত।

প্রথমটিতে গেমারদেরকে ডিসেপটিকনস নামের রোবটদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, আর দ্বিতীয় অংশে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় অটোবটদের। ডিসেপটিকনস এবং অটোবট কিন্তু নীতি নৈতিকতার দিক দিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর অধিবাসী। সম্পূর্ণ ভিন্ন মানসিকতার দুই দল রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটি আগ্রহোদ্দীপক, সন্দেহ নেই।

নেতিবাচক মানসিকতার রোবটদের মধ্যে আছে মেগাট্রন নামে এক রাশভারী রোবট যে কিনা নিজেকে বাকি সবার সর্দ্দার মনে করে এবং তার সঙ্গে হালকা কোনো কথাবার্তা কেউ বললেও সেটা তার কাছে অপমানজনক মনে হয়। এদিকে তাকে ক্ষেপানোর জন্য সর্বদাই প্রস্তুত আছে স্টারস্প্রিউম নামের এক ভুঁইফোড় রোবট। সে কারো কাছ থেকে নির্দেশ পেতে পছন্দ করে না এবং সবার সঙ্গে ঠাট্টা তামাশা করে অভ্যস্ত। এদিকে এদের উল্টোদিকে আছে অপটিমাইস প্রাইম নামের এক রোবট, যে ‘দুঃখিত’ এবং ‘দয়া করুন’ ধরনের সৌজন্যমুলক শব্দ ব্যবহার ছাড়া কথাই বলতে পারে না। তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার কাছে নিজেকে ভালো বলে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সবাইকে খুশি রাখা।

অপটিমাসের চাইতে অবশ্য মেগাট্রন বা স্টারস্প্রিউম এর সঙ্গে সময় কাটানেটাই বেশি উপভোগ্য বলে মনে হবে, কারণা তাদের সঙ্গে থাকলে সবসময়ই কিছু না কিছু ঘটবে। গেমটির দশ লেভেলের ক্যাম্পেইন একটানা খেলে শেষ করতে ১৫ ঘণ্টার মত লাগবে। তবে গেমের বেশিরভাগ জুড়েই যেহেতু রয়েছে একই রকমের দেখতে করিডোর দিয়ে আসা যাওয়া করা আর শত শত নির্বাধ রোবটকে গুলি করে শুইয়ে দেয়া, সে কারণে গেমে বৈচিত্র্যের অভাব রয়েছে আর আর এই বৈচিত্রের অভাব এর কারনে খুব দ্রুতই গেমারদের একঘেয়েমীতে পেয়ে বসতে পারে।


গেমটির কোর মেকানিক্স অবশ্য যথেষ্ট আধুনিক ও উপভোগ্য। গেম এনভায়রনমেন্ট যথেষ্ট রেসপনসিভ, লাফঝাফ দিন বা অস্ত্রচালনা করুন, গেম পরিবেশ থেকে সুষম সাড়া পাবেন, যা খেলার আনন্দকে বাড়িয়ে দেবে। গেমটিতে পুনরাবৃত্তির বাহুল্য আছে, খুব বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করার সুযোগ পাবেন না, এ কারণে সব শত্রুকেই একইরকম মনে হবে। গেমে একটি মজার দিক হচ্ছে, আপনি নিজেকে ইচ্ছে করলেই পরিবর্তন করে নিতে পারবেন দ্রুতগামী যানে, আর সেই যানের সাহায্যে চোখের নিমিষে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এখান থেকে ওখানে।

গেমের প্রতিটি লেভেলের ছোট ছোট কয়েকটি করে সেকশন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আপনি যানবাহনের রূপ নিয়ে মজা করে খেলতে পারেন, সম্ভবত গেমটির সবচেয়ে মজার অংশগুলোর মধ্যে এগুলোও একটি। রোবটদের নিয়ে আপনি আগ্রহী হলে এবং এর আগে ট্রান্সফর্মারস সিরিজের গেম খেলে থাকলে এ গেমটি খেলতে খারাপ লাগবে না।

গেম সিস্টেম কনফিগারেশন রিকয়ারমেন্ট:

অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ এক্সপি, ভিস্তা, সেভেন।

সিপিইউ: ইন্টেল কোর টু ডুয়ো বা আই থ্রি সিরিজের কমপক্ষে ২.০ গিগাহার্টজ প্রসেসর।

র‌্যাম: ১ গিগাবাইট এক্সপির জন্য। ২ গিগাবাইট ভিস্তার বা সেভেন এর জন্য।

গ্রফিক্স কার্ড: কমপক্ষে ২৫৬ মে.বা. ডিরেক্টএক্স ৯.০ কমপ্যাটিবল এনভিডিয়া জিফোর্স ৭৯০০ জিটি অথবা রেডিয়ন এক্স১৯০০ ভিডিও কার্ড। হার্ড ডিস্ক স্পেস: ৯ গিগাবাইট ফ্রি হার্ড ড্রাইভ স্পেস।

সাউন্ড: ১৬-বিট ডিরেক্টএক্স ৯.০সি কমপ্যাটিবল

0 comments:

Post a Comment